মোঃ ফরহাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পাইকারটারী এলাকায় বিয়ের দাবীতে সুমন নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে গিয়ে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বাবার বাড়িতে ফিরে এসে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছে এক কিশোরী।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পাইকারটারী এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে সুমনের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে গিয়েছিল ওই কিশোরী।
জানা গেছে, পাইকারটারী এলাকার সুমন দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন। গত ২৯ জুলাই সুমনের বিয়ে হবে এমন খবর পেয়ে তার বাড়িতে ছুটে যান ওই কিশোরী। পরে স্থানীয় লোকজন ও বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের সরলতার সুযোগে সুমন আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। বিয়ের জন্য আমার মেয়ে ওদের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন মহিলা ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে বুদ্ধি করে আমার মেয়েটাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি সুমনের শাস্তি চাই।
বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসায় ওই কিশোরীকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না তার পরিবারের লোকজন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে ওই কিশোরী।
বড়খাতা বাজারের প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী রিপন মিয়া বলেন, প্রেমের প্রলোভনে ফেলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কিশোরীর সর্বনাশ করেছে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যেভাবে বসবাস করে তারাও সেভাবেই ছিল। সুমন নামের ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ওই স্কুলছাত্রীর সাথে বিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ওই স্কুলছাত্রী জানান, সুমন প্রেমের প্রলোভনে ফেলে তার ইজ্জত লুটেছে। এর সঠিক বিচার পেলে না পেলে জীবন ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে সদ্য এসএসসি পাস করা ওই স্কুলছাত্রী।
সুমনের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, আমার ছেলে কয়েকদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা চলছে।
এম.এফ/ রংপুর টাইমস